Up Next Videos

header ads

পিএইচপি ইঞ্জিন মানুষের মস্তিষ্কের মতো !

php bangla

পিএইচপি (PHP) হল একটি প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি মূলত সার্ভার-সাইড স্ক্রিপ্টিং-এর জন্য ব্যবহৃত হয়। পিএইচপি হচ্ছে একটি স্ক্রিপ্টিং ভাষা যা মূলতঃ চলমান ওয়েব পাতা তৈরির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইহা কমান্ড লাইন ইন্টারফেস ক্ষমতাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং স্ট্যান্ডআলোন গ্রাফিক্যাল আপ্লিকেশনকে ব্যবহার করতে পারে।

যখন প্রকৃতপক্ষে পিএইচপি ১৯৯৫ সালে রাসমুস লের্ডর্ফ উদ্ভাবন করেন, সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত পিএইচপির মুল প্রয়োগ পিএইচপি গ্রুপ ও সার্ভার মাধ্যমে হয়ে আসছে এবং পিএইপি একটি বিষয়ের নির্দিষ্ট সীমারেখায় আবদ্ধ নয়। পিএইচপি পিএইচপি লাইসেন্সের অধীনে একটি ফ্রী সফটওয়ার, যা পিএইচপি ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা থাকলেও জিএনইউ জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স (জিপিএল) এর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ন। পিএইচপি একটি বহুল ব্যবহৃত সাধারণ উদ্দেশ্যে সাধনের স্ক্রিপ্টিং ভাষা যা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য বিশেষ উপযোগী এবং এইচটিএমএল আকারে প্রকাশ করা যায়।ইহা সাধারনতঃ একটি ওয়েব সার্ভারে পরিচালিত হয় যা পিএইচপি কোডকে নির্দেশনা আকারে ব্যবহার করে এবং ওয়েব পাতা তৈরি করে ফলাফল প্রদর্শন করে। ইহা বেশীর ভাগ ওয়েব সার্ভারে প্রয়োগ করা যায় এবং প্রায় সকল অপারেটিং সিস্টেম ও অবস্থান ভেদে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। ২০ মিলিয়নেরও বেশি ওয়েবসাইট ও ১ মিলিয়ন ওয়েব সার্ভারে পিএইচপি ব্যবহৃত হচ্ছে।

পিএইচপি তৈরী শুরু হয়েছিল ১৯৯৪ সালে এবং তখন নাম ছিল Personal Home Page (PHP), যখন রাসমুস লের্ডর্ফ(Rasmus Lerdorf) "কমন গেটওয়ে ইন্টারফেস(CGI)" এর একটি সিরিজ লিখেন পার্ল(Perl) প্রোগ্রামিং ভাষার মাধ্যমে। যেটির কাজ ছিলো তার নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের হোমপেইজ মেইনটেইন করা। যেটি তার সিভি এবং ওয়েব ট্রাফিক বা ভিজিটরের সংখ্যা রেকর্ড করত। সাইটের পার্ফরমেন্সের কারণে তিনি একই স্ক্রিপ্ট পুনোরায় সি(প্রোগ্রামিং ভাষা) দিয়ে লিখেন । এবং এর সাথে তিনি ওয়েব ফর্ম এবং ডাটাবেসে যুক্ত হওয়ার সুবিধা যোগ করেন এবং এই রুপায়নের নাম দেন "পার্সোনাল হোম পেইজ(Personal Home Page)" বা সংক্ষেপে পিএইচপি। মুলত এখান থেকেই পিএইচপি তৈরি হয়। এটি সাধারন,ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর পর জুন ৮,১৯৯৫ পিএইচপিতে এইচটিএমএল(HTML) এমবেডেড করে দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে ভার্সন ৩ (Version 3) এসেছিল আর পিএইচপি ৫ ভার্সনটি এসেছে ২০০৪ সালে এবং বর্তমানে সর্বশেষ ভার্সনটি হচ্ছে (স্টাবল)  (৭ই মার্চ, ২০১৯)


পিএইচপি একটি ফ্রি সফটওয়্যার যা PHP License এর অধীনে রিলিজ হয় , যেটা হল:

  4. Products derived from this software may not be called "PHP", nor
     may "PHP" appear in their name, without prior written permission
     from group@php.net.  You may indicate that your software works in
     conjunction with PHP by saying "Foo for PHP" instead of calling
     it "PHP Foo" or "phpfoo"
"পিএইচপি" নামটি ব্যবহারের উপর এই নিষেধাজ্ঞা GNU General Public License (GPL). আইন অনুসারে বেমানান
বর্তমান যুগে ওয়েব অটোমেশনের জন্য একটি বিশ্বস্ত নাম - পিএইচপি । পিএইচপি একটি জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যার সূচনাই হয়েছিলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য । দিনে দিনে পিএইচপির জনপ্রিয়তা বাড়তে বাড়তে ওয়েব আজ তার আধিপত্য অদ্বিতীয় । বিশ্বের প্রায় ৮২% (রেফ: ১) ওয়েবসাইটই কোন না কোনভাবে পিএইচপির উপর নির্ভরশীল । ফেইসবুকের একটা বিরাট অংশ ডেভেলপ করা পিএইচপিতে । তারা পিএইচপির উপর এতটাই নির্ভরশীল যে ফেইসবুক নিজেরাই পিএইচপির উন্নয়নের জন্য নতুন পিএইচপি ইনজিন (HHVM) রিলিজ করে । পিএইচপির প্রবল জনপ্রিয়তা আর চাহিদার কথা চিন্তা করে গুগল সম্প্রতি তাদের এ্যাপ ইনজিন প্ল্যাটফর্মে পিএইচপি সাপোর্ট যোগ করে । আসলে যেখানে ওয়েবের ৮২%-ই পিএইচপি ব্যবহার করে সেখানে উদাহরণ খুজঁতে গেলে হাজার হাজার নমুনা পাওয়া যাবে । ওয়েব নির্ভর প্রজেক্টগুলোতে তাই পিএইচপি ডেভেলপারদের চাহিদাও ব্যাপক । পিএইচপি ল্যাংগুয়েজটি পৃথিবীতে মাত্র কয়েক বছর হয় এসছে। পিএইচপিকে "Big Boys" ল্যাংগুয়েজ বলা হয় পিএইচপি৫ ভার্সন আসার পর থেকে যেখানে জাভা, সি এসব ল্যাংগুয়েজকে অনেক আগে থেকে "Big Boys" বলা হত। পিএইচপি৫ ভার্সন এসছে ২০০৪ সালে। এসেই বাজিমাৎ। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৪০ ভাগ (প্রায় ২৫০ মিলিয়ন সাইট - ২০১৩ পর্যন্ত) ওয়েব এপ্লিকেশন (সাইট) একা পিএইচপিতে তৈরী বাকি সব ল্যাংগুয়েজ মিলে ৬০ ভাগ।

১. “প্রায় সব ডেটাবেস সমর্থন করে” : মুল ৫ টি ডেটাবেস সহ (Oracle, MySQL, PostgreSQL, SQLServer, MongoDB) প্রায় সব ডেটাবেস দিয়ে পিএইচপির কাজ করা যায়। যেকোন ডেটাবেস integrate করা তেমন কঠিন নয় বরং বহুল ব্যবহৃত ডেটাবেসগুলির ড্রাইভার পিএইচপিতে অটোমেটিক সেট করাই আছে।

২. পিএইচপি ইঞ্জিন মানুষের মস্তিষ্কের মতো : অন্যান্য ল্যাংগুয়েজ এর তুলনায় পিএইচপির ইন্জিন বেশি বুদ্ধিমান। এটা এভাবে যে এখানে ডেটা টাইপ ডিক্লেয়ার করতে হয়না সে নিজেই নিজেই ডেটা দেখে বুঝতে পারে এটা কোন ধরনের ডেটা (loosely typed language)। এছাড়া এখানে টাইপ কাস্ট করা যায় ফলে অপ্রত্যাশিত ভুল হয়না।

৩. সাপোর্ট এবং কমিউনিটি : বেশ ঘন ঘনই পিএইচপির হালনাগাদ বের হচ্ছে এবং খুব দ্রুতই নতুন নতুন ফিচার যোগ করছে। এছাড়া পিএইচপির ব্যবহারকারী তথা কমিউনিটি অনেক বড়। অনেক। যেকোন সমস্যা হলে কোন ফোরামে প্রশ্ন দিলে যত তারাতারি সারা পাবেন অন্য ল্যাংগুয়েজে তা পাবেন না।

৪. শেখা সহজ এবং বড় প্রজেক্ট করা যায় : অন্যান্য ল্যাংগুয়েজের তুলনায় পিএইচপি শেখা সহজ। শুধু এইচটিএমএল এর মধ্যে কোড লিখে সার্ভারে রেখে ব্রাউজারে রান করালেই আউটপুট দেখতে পাচ্ছেন।


রিয়েল লাইফ প্রজেক্টকে সহজ ও টিমের সকলের জন্য বোধগম্য করে তোলার জন্য ফ্রেমওয়ার্ক এর উদ্ভাবন হয়েছে। ফ্রেমওয়ার্কের ধারণা আসছে মূলত সিকিউরিটি, কোডের রিডেবিলিটি বাড়ানোর জন্য। জনপ্রিয় অনেকগুলো ফ্রেমওয়ার্ক বর্তমানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।


তথ্য সুত্র উইকিপিডিয়া

Post a Comment

0 Comments